বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধ

বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধ – গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা ও দাম

বাচ্চাদের গ্যাসের সমস্যা সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়।  বাচ্চাদের গ্যাসের ওষুধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই প্যাকেটের লেবেলটি সাবধানে পড়ুন ।বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধ সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন: বমি বমি ভাব, বমি, পেট খারাপ , ত্বকের র‍্যাশ । শিশুকে খাওয়ানোর সময় সোজাভাবে বসানো। শিশুকে খাওয়ানোর পরে পেট ম্যাসাজ করা। শিশুকে খাওয়ানোর পরে একটু হাঁটাচলা করানো। শিশুকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানো। শিশুকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর সময় ফর্মুলাটি ভালভাবে ঝাঁকানো।শিশুর গ্যাসের সমস্যা যদি গুরুতর হয় বা যদি কোনও অন্যান্য লক্ষণ থাকে, যেমন জ্বর, ডায়রিয়া বা বমি, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা

বাচ্চাদের গ্যাসের জন্য কোন ওষুধটি সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করে গ্যাসের কারণ এবং তীব্রতার উপর।  এন্টাসিড: এন্টাসিড হলো এমন ওষুধ যা পেটের অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি গ্যাসের ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে। বাচ্চাদের জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ এন্টাসিড হলো: Maalox, Mylanta, Rolaids, Tums গ্যাসের ওষুধ। সিমেথিকন: সিমেথিকন হলো এমন একটি ওষুধ যা গ্যাসের বুদবুদগুলিকে ভেঙে ফেলে। এটি গ্যাসের ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে। বাচ্চাদের জন্য ব্যবহৃত   Mylicon ,Gas-X, Dimeticone কিছু সাধারণ সিমেথিকন ওষুধ। প্রোবায়োটিক: প্রোবায়োটিক হলো এমন ব্যাকটেরিয়া যা স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিকগুলি গ্যাসের সমস্যাগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে। বাচ্চাদের জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ প্রোবায়োটিক হলো: Align, Culturelle ,Florastor, Violife.

গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা

গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে গ্যাস এবং পেটে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।ডায়জিন এবং ডায়জিন-এম হল অ্যান্টাসিড ঔষধ যা গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে এটিকে নিরপেক্ষ করে।অ্যাসিডিন এবং অ্যাসিডিন-এম হল অ্যান্টাসিড ঔষধ যা গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে এটিকে নিরপেক্ষ করে এবং পেট থেকে অতিরিক্ত অ্যাসিড শোষণ কমাতে সাহায্য করে।রেনিটিডিন, ওমেপ্রাজল, ল্যানসোপ্রাজল, এবং ইমিপ্রাজল হল প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPI) ঔষধ যা গ্যাস্ট্রিক কোষ থেকে অ্যাসিড নিঃসরণ বন্ধ করে।

ডোম্পামিন হল একটি হরমোন যা পাকস্থলী থেকে খাদ্যকে পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে দ্রুত সরানোতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস এবং পেটে ব্যথা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।এই ঔষধগুলি সাধারণত দিনে এক বা দুবার খাবারের পরে নেওয়া হয়। তবে, নির্দিষ্ট ঔষধের জন্য ডোজ এবং সেবন নির্দেশাবলী ভিন্ন হতে পারে। তাই, কোনও ঔষধ গ্রহণের আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

  1. ডায়জিন (Dizin)
  2. ডায়জিন-এম (Dizin-M)
  3. অ্যাসিডিন (Acidin)
  4. অ্যাসিডিন-এম (Acidin-M)
  5. রেনিটিডিন (Ranitidine)
  6. ওমেপ্রাজল (Omeprazole)
  7. ল্যানসোপ্রাজল (Lansoprazole)
  8. ইমিপ্রাজল (Esomeprazole)
  9. ডোম্পামিন (Dopamine)

গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা ও দাম

গ্যাসের ঔষধের দাম বিভিন্ন রকম হতে পারে। এটি নির্ভর করে ঔষধের ধরন, ব্র্যান্ড, এবং ডোজের উপর। সাধারণত, গ্যাসের ঔষধের দাম ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, কিছু ঔষধের দাম এর চেয়েও বেশি হতে পারে। বাংলাদেশে গ্যাসের ঔষধের কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হল: ওমেপ্রাজল, ল্যানসোপ্রাজল , রেনিটিডিন,  ডাইসাইক্লোমিন, মেটোক্লোপ্রামাইড।এই ঔষধগুলি সাধারণত প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়।

গ্যাসের সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য কোনো জটিলতা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ওমেপ্রাজল 20 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (ওমিপ্রাজল) – ১০০ টি ট্যাবলেটের দাম প্রায় ১৫০ টাকা। ল্যানসোপ্রাজল 30 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (ল্যানসোপ্রাজল) – ১০০ টি ট্যাবলেটের দাম প্রায় ২৫০ টাকা। রেনিটিডিন 150 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (রেনিটিডিন) – ১০০ টি ট্যাবলেটের দাম প্রায় ৫০ টাকা। ডাইসাইক্লোমিন 10 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (ডাইসাইক্লোমিন) – ১০০ টি ট্যাবলেটের দাম প্রায় ১০০ টাকা। মেটোক্লোপ্রামাইড 10 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (মেটোক্লোপ্রামাইড) – ১০০ টি ট্যাবলেটের দাম প্রায় ৫০ টাকা। এই দামগুলি শুধুমাত্র অনুমানমূলক। বিভিন্ন ফার্মেসি এবং ব্র্যান্ডের দাম ভিন্ন হতে পারে।

ওষুধের নামধরণপ্রতি পাতা দাম
ওমিপ্রাজলপ্রেসক্রিপশন৪০ মিলিগ্রাম: ৪৫-৬০ টাকা, ২০ মিলিগ্রাম: ২৫-৩০ টাকা
ল্যানসোপ্রাজলপ্রেসক্রিপশন৩০ মিলিগ্রাম: ৩৫-৪০ টাকা, ১৫ মিলিগ্রাম: ২৫-৩০ টাকা
এসোমেপ্রাজলপ্রেসক্রিপশন৪০ মিলিগ্রাম: ৪০-৫০ টাকা, ২০ মিলিগ্রাম: ২৫-৩০ টাকা
রাবেপ্রাজলপ্রেসক্রিপশন২০ মিলিগ্রাম: ৩০-৪০ টাকা, ১০ মিলিগ্রাম: ২৫-৩০ টাকা
ডুওলিটিকপ্রেসক্রিপশন৪০ মিলিগ্রাম: ৬০-৭০ টাকা, ২০ মিলিগ্রাম: ৪৫-৫০ টাকা
ফাইব্রোগাস্টপ্রেসক্রিপশন৪০ মিলিগ্রাম: ৫০-৬০ টাকা, ২০ মিলিগ্রাম: ৩৫-৪০ টাকা
অ্যালমগেটপ্রেসক্রিপশন১০০ মিলিগ্রাম: ৩০-৪০ টাকা, ৫০ মিলিগ্রাম: ২৫-৩০ টাকা
মেটোক্লোপ্রামাইডপ্রেসক্রিপশন১০ মিলিগ্রাম: ২৫-৩০ টাকা, ৫ মিলিগ্রাম: ২০-২৫ টাকা
ডিস্কোভিটপ্রেসক্রিপশন৪০ মিলিগ্রাম: ৫০-৬০ টাকা, ২০ মিলিগ্রাম: ৩৫-৪০ টাকা
ডুওসেটপ্রেসক্রিপশন৪০ মিলিগ্রাম: ৬০-৭০ টাকা, ২০ মিলিগ্রাম: ৪৫-৫০ টাকা
ডুওটেকপ্রেসক্রিপশন৪০ মিলিগ্রাম: ৬০-৭০ টাকা, ২০ মিলিগ্রাম: ৪৫-৫০ টাকা
ডুওরেটপ্রেসক্রিপশন৪০ মিলিগ্রাম: ৬০-৭০ টাকা, ২০ মিলিগ্রাম: ৪৫-৫০ টাকা
ডুওরাইটপ্রেসক্রিপশন৪০ মিলিগ্রাম: ৬০-৭০ টাকা, ২০ মিলিগ্রাম: ৪৫-৫০ টাকা
ডুওলাক্সপ্রেসক্রিপশন৪০ মিলিগ্রাম: ৬০-৭০ টাকা, ২০ মিলিগ্রাম: ৪৫-৫০ টাকা

কোনও ওষুধ সেবনের আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গ্যাসের ওষুধের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া এবং পেট ব্যথা। যদি গ্যাসের ওষুধ সেবনের পরে কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধের দাম

বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধের দাম বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন ঔষধের ধরন, ব্র্যান্ড, এবং ডোজ। সাধারণত, বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধের দাম প্রতি প্যাকেট ৫০-১০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, কিছু নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের দাম এর চেয়ে বেশিও হতে পারে। গ্যাসের ঔষধের দাম বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন ঔষধের ধরন, ঔষধের পরিমাণ, এবং ঔষধের নির্মাতা। বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধ কেনার সময় মনে রাখা উচিত: ঔষধের লেবেলটি সাবধানে পড়ুন এবং আপনার সন্তানের বয়স এবং ওজনের জন্য সঠিক মাত্রা নিন। ঔষধটি আপনার সন্তানের জন্য নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ঔষধটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন। উল্লেখ্য যে, এই দামগুলো শুধুমাত্র একটি ধারণা মাত্র। নির্দিষ্ট ঔষধের দাম বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে।

  • ডোমিস্কেন সিরাপ (৬০ মিলি): ৬০-৮০ টাকা
  • রেনিটিডিন সিরাপ (৬০ মিলি): ৪০-৬০ টাকা
  • অ্যাসিড রেগুলেটর সিরাপ (৬০ মিলি): ৫০-৭০ টাকা
  • সারভেক্স সিরাপ (৬০ মিলি): ৪০-৫০ টাকা
  • এন্টাসিডা ট্যাবলেট (১০ ট্যাবলেট): ৩০-৪০ টাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *