কিডনি রোগের ঔষধ নাম

কিডনি রোগের ঔষধ নাম – কিডনি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

কিডনি রোগের ঔষধ নাম – কিডনি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা ! কিডনি শরীরের ময়লা আবর্জনা গুলোকে সাকনী মত কাজ করে। আমরা বাসি খাবার ও দূষিত খাবারে খেতে অভ্যস্ত। মানব শরীরে খাবার গ্রহণের পরে কিডনি ফিল্ডারিং করে শরীরের দূষিত পদার্থগুলোকে টেনে বের করে। বেশি পরিমাণে কোন অ্যালকোহল যুক্ত পানি পান করলে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একটা সময় কিডনি আস্তে আস্তে সঠিক কাজটি করতে ব্যর্থ হয়। এই মূল সময়ে কিডনির নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

বাংলাদেশ সহ বহির্বিশ্বে কিডনি রোগী দিন দিন অনেক অংশে বেড়ে যাচ্ছে। এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় সঠিক নিয়ম কানুন জেনে কিডনি থেকে রোগ থেকে মুক্তি নেওয়া। অনেকে আতঙ্কের বসে কিডনি রোগ সমস্যা পড়ে জীবন শেষ এই চিন্তা ভাবনা করে। এই ভ্রান্ত চিন্তা থেকে বের হয়ে কিডনি সমস্যার সমাধানের জন্য আজকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব।

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

কিডনি ঠিক রাখার প্রধান কাজ বেশি করে পানি পান করা। বেশি পানি খেলে শরীরের প্রসাবের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ গুলো বের হবে। শরীরের মধ্যে আস্তে আস্তে ফুলা অনুভব করবে ও কোমরে দুই পাশ স্বাভাবিক চুলা ফুলে যাবে। শরীরে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিবে। বেশি বেশি ঘন প্রসাবে চাপ আসবে। ঠিক তখনই বুঝবেন কিডনির প্রধান লক্ষণ শরীরের মধ্যে প্রবেশ করেছে। লক্ষণ গুলো শরীরের মধ্যে অনুভব না করা যায় তাহলে বুঝবেন কিডনি খুব ভালো আছে।

নষ্ট কিডনি ভালো করার উপায়

কিডনি রোগে হতাশা নয় সমাধানের চেষ্টা করুন। কিডনি রোগ একটি স্বাভাবিক। বাংলাদেশে শতকরা ১০% মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। সাধ্যমত চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে কিডনি সংযোজন করে স্বাভাবিক মানুষের মত চলাফেরা করা যাবে। কিডনি রোগে মুক্তির প্রধান কাজ হবে নিয়ন্ত্রিত ডায়েট মেন্টেন করে খাবার খাওয়া। ডায়াবেটিস থাকলে রেগুলার ইন্সুরেন্স নেওয়া। অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ইউরিন ইনফেকশন জনিত সমস্যায় ফলে কিডনি রোগ দিন দিন অধিক পরিমাণে বাড়ছে। রক্ত বৃদ্ধির জন্য ফলমূল ফলমূল ও শাক সবজির পরিমাণ খাবার তালিকা রাখতে হবে। বেশি করে সবুজ সবজি, পেয়ারা, পেঁপে, মটরশুঁটি, টমেটো ও ঢেঁড়স খাবার গুলো খেতে হবে। তাহলে দীর্ঘদিন রোগী বাঁচতে পারে।

কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে

হায়াত ও মৃত্যু আল্লাহর হাতে। সঠিক নিয়মকানুন মেনে চললে সকল ধরনের জটিল ও কঠিন মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিডনি রোগের জন্য একটি নিজস্ব ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট থাকতে হবে। অবশ্যই ভাজাপোড়া, চানাচুর, কফি ও চর্বিযুক্ত খাদ্য পরিত্যাগ করতে হবে। প্রতিমাসে চেকআপ করার সামর্থ্য থাকলে করবেন। সেই সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট তালিকা তৈরি ও ওষুধ সেবন করুন। তাহলেই এই মরণব্যাধি রোগ থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারবেন।

কিডনি রোগীর আয়ু নির্ভর করে রোগের তীব্রতা, রোগীর বয়স, লিঙ্গ, এবং অন্যান্য চিকিৎসাগত অবস্থার উপর। সাধারণভাবে, স্টেজ 1 এবং 2 কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গড় আয়ু স্বাভাবিক মানুষের মতোই থাকে। স্টেজ 3 কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গড় আয়ু 10-15 বছর হতে পারে। স্টেজ 4 এবং 5 কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গড় আয়ু 5-10 বছর হতে পারে।

ডায়ালাইসিস : 

ডায়ালাইসিস হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা কিডনির কাজকে প্রতিস্থাপন করে। ডায়ালাইসিস দুই ধরনের: হিমোডায়ালাইসিস এবং পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস। হিমোডায়ালাইসিসে রোগীর রক্ত একটি মেশিনের মাধ্যমে শোধন করা হয়। পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসে রোগীর পেটের মধ্যে একটি তরল প্রবেশ করানো হয় যা শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।

কিডনি প্রতিস্থাপন : 

কিডনি প্রতিস্থাপন হল একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি যা একজন সুস্থ ব্যক্তির কিডনি একজন কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করে। কিডনি প্রতিস্থাপন রোগীর জন্য সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা পদ্ধতি। তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য একটি উপযুক্ত কিডনিদাতা পাওয়া কঠিন হতে পারে।

কিডনি রোগের  আয়ু দীর্ঘ করা:

  • নির্ধারিত ওষুধ গ্রহণ করা: কিডনি রোগের কারণ নির্ধারণ করে নির্ধারিত ওষুধ গ্রহণ করা জরুরি।
  • স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা এড়ানো কিডনি রোগের অগ্রগতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

কিডনি রোগীদের জন্য পরামর্শ:

  • নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করা: কিডনি রোগের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করা জরুরি।
  • ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা: ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের প্রধান কারণ। এই অবস্থাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা কিডনি রোগের অগ্রগতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কিডনি রোগের অগ্রগতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম কিডনি রোগের অগ্রগতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা এড়ানো: ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা কিডনি রোগের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে পারে।

কিডনি রোগের ওষুধ নাম

কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক অবস্থায় ভালো চিকিৎসকের অধীনে অত্যাধুনিক গুণগত ল্যাব পরীক্ষা করুন। রোগের সিনড্রোম দেখা দিলে তাৎক্ষণিক অবস্থায় দেরি না করে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকের সাক্ষাৎ গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসক যে ওষুধগুলো সাজেস্ট করবে সঠিক নিয়ম অনুসারে খেতে হবে। যারা প্রাথমিক অবস্থায় ডাক্তারের কাছে যেতে পারেনা। তাদের জন্য আমরা বাংলাদেশের নামকরা কোম্পানির ব্র্যান্ডের কিডনি রোগের ওষুধের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করব। তবে ওষুধগুলো সেবন করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিবেন ।

  • অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ ওষুধ: উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের একটি প্রধান কারণ। অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ ওষুধ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, যা কিডনিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
  • ডায়াবেটিক ওষুধ: ডায়াবেটিস কিডনি রোগের আরেকটি প্রধান কারণ। ডায়াবেটিক ওষুধ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা কিডনিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
  • প্রোটিন প্রসেসিং ইনহিবিটার: প্রোটিন প্রসেসিং ইনহিবিটার কিডনির প্রোটিন ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনির কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

কিডনি রোগের  লক্ষণ

  • ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি। কারণ, ডায়াবেটিস রোগীদের রক্ত ​​প্রবাহে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
  • উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষতি করতে পারে। কারণ, উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ধমনীগুলিকে চাপ দিতে পারে, যার ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • রেনাল অ্যালকোহল (Renal Alcohol): অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা কিডনি রোগের কারণ হতে পারে।
  • কিডনিতে পাথর: কিডনিতে পাথর কিডনিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • কিডনিতে সংক্রমণ: কিডনিতে সংক্রমণ কিডনিকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • কিডনিতে ক্যান্সার: কিডনিতে ক্যান্সার কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
  • কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন এন্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ, কিডনি ক্ষতি করতে পারে।
  • জন্মগত সমস্যা: কিছু জন্মগত সমস্যা কিডনি রোগের কারণ হতে পারে।

ডায়ালাইসিস ছাড়া কিডনি চিকিৎসা

ডায়ালাইসিস ছাড়া কিডনি চিকিৎসা সম্ভব, তবে এটি একটি জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে, জীবনধারা পরিবর্তন এবং ওষুধের মাধ্যমে কিডনি ক্ষতি রোধ করা বা ধীর করা যেতে পারে। এটি ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয়তা কমাতে পারে বা প্রতিরোধ করতে পারে।

কিডনি রোগের মধ্যবর্তী পর্যায়ে, ওষুধের পাশাপাশি জীবনধারা পরিবর্তনগুলিও সাহায্য করতে পারে। এই ওষুধগুলি কিডনি ক্ষতি রোধ করতে বা ধীর করতে সাহায্য করতে পারে। কিডনি রোগের শেষ পর্যায়ে, ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। ডায়ালাইসিস একটি প্রক্রিয়া যা শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে। কিডনি প্রতিস্থাপন হল একটি অস্ত্রোপচার যা একজন মৃত বা জীবিত দাতা থেকে একটি নতুন কিডনি প্রতিস্থাপন করে।

ডায়ালাইসিস ছাড়া কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য কিছু নতুন পদ্ধতিও উন্নয়নাধীন রয়েছে। এই পদ্ধতিগুলি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে, তবে তারা ভবিষ্যতে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করতে পারে।কিডনি রোগ একটি গুরুতর অবস্থা যা চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই  কিডনি রোগের লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

  • ডায়েট পরিবর্তন: কিডনি রোগের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এই ডায়েটে প্রোটিন, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের পরিমাণ সীমিত করা উচিত।
  • তরল গ্রহণ: কিডনি রোগের রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করা উচিত।
  • সোডিয়াম সীমাবদ্ধতা: কিডনি রোগের রোগীদের সোডিয়াম গ্রহণ সীমিত করা উচিত।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের একটি প্রধান কারণ। তাই, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস কিডনি রোগের আরেকটি প্রধান কারণ। তাই, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
  • ধূমপান :  অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়ানো

কিডনি রোগের প্রতিকার

কিডনি রোগ একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা জীবনযাত্রার মানকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রোগের অগ্রগতি রোধ করতে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি রোগের নির্দিষ্ট প্রতিকারের জন্য নির্ভর করে এর কারণ এবং তীব্রতার উপর। যদি কিডনি রোগের কারণ একটি সংক্রমণ হয়, তাহলে সংক্রমণটি নিরাময় করা কিডনি রোগের চিকিৎসার মূল লক্ষ্য। যদি কিডনি রোগের কারণ ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ হয়, তাহলে এই অবস্থাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা কিডনি রোগের অগ্রগতি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

  • ওষুধ: কিডনি রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে রক্তচাপ কমানো ওষুধ, রক্তের প্রোটিন কমানো ওষুধ, এবং কিডনিতে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ওষুধ।
  • ডায়েট: কিডনি রোগের চিকিৎসায় ডায়েটও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায়ই কম প্রোটিন, ফসফরাস, এবং পটাসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • থেরাপি: কিডনি রোগের চিকিৎসায় শারীরিক থেরাপিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শারীরিক থেরাপি কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শক্তি এবং নমনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
  • অন্যান্য চিকিৎসা: কিডনি রোগের চিকিৎসায় অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে ডায়ালাইসিস এবং কিডনি প্রতিস্থাপন। ডায়ালাইসিস হল একটি চিকিৎসা যা কিডনির কাজ করার ক্ষমতা প্রতিস্থাপন করে। কিডনি প্রতিস্থাপন হল একটি অস্ত্রোপচার যা একটি অসুস্থ বা ক্ষতিগ্রস্ত কিডনিকে একটি স্বাস্থ্যকর কিডনি দিয়ে প্রতিস্থাপন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *