পিত্তথলির পাথর গলানোর ওষুধ

পিত্তথলির পাথর গলানোর ওষুধ

পিত্তথলির পাথর গলানোর ওষুধ ! মানুষের মধ্যে খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তনের ফলে দিন দিন নানা রোগের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। ক্রমাগতভাবে ফাস্টফুড খাবার গুলোর প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। চর্বিযুক্ত খাবারগুলো ফ্যাটি গড়ে তোলে। কোলেস্টেরল বেশি হলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পায়। তখন শরীরে ভিতরে পিত্তথলির মধ্যে পাথর জন্ম হয়। পাথরটি ধীর গতিতে অনেক বড় হতে থাকে।বর্তমান আধুনিক সময়ে অপারেশন ছাড়াও পিত্তথলির পাথর বের করা সম্ভব। চারটি ছিদ্র করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মেশিনের দ্বারা অভিজ্ঞ চিকিৎসক ফুটো করে পাথর বের করে। তবে আমরা যে নতুন বিষয়টিতে ধারণা দিতে এসেছি তা হলো অপারেশন ছাড়া পাথর কিভাবে গলানো সম্ভব।

পিত্ত থলির পাথর কেন হয়

অতিরিক্ত মাত্রায় ফেটি খাবার গ্রহণের ফলে শরীরের ভিতরে চর্বি জমে। বেশি পরিবারের চর্বি জমার ফলে পাথরে পরিণত হয়। সাধারণত পানি কম পরিমাণে পান করলে এই আশঙ্কা বেশি থাকে। ৪০ উর্ধ্বে মহিলাদের পিত্তথলি পাথর হয়। পিত্তথলির পাথর থেকে মুক্তি পেতে হলে চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার, পর্যন্ত পরিমাণ পানি পান করা ও স্বাস্থ্যবান না হওয়া বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। পিত্ত থলির পাথর হল পিত্ত থলিতে গঠিত কঠিন পদার্থ। পিত্ত থলি হল একটি ছোট, চেরি আকারের অঙ্গ যা লিভারের নিচে অবস্থিত। এটি পিত্ত সংরক্ষণ করে, যা একটি হলুদ-সবুজ তরল যা চর্বি হজমে সাহায্য করে। পিত্ত থলির পাথরের প্রধান কারণ হল পিত্তের রাসায়নিক সংমিশ্রণে পরিবর্তন। পিত্তে সাধারণত কোলেস্টেরল, লবণ এবং পিত্ত অ্যাসিড থাকে। যখন এই উপাদানগুলির মধ্যে একটির মাত্রা খুব বেশি হয়, তখন এটি স্ফটিক তৈরি করতে পারে যা পাথরে পরিণত হয়। পিত্ত থলির পাথরের অন্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরোসিস, থাইরয়েড সমস্যা, কিছু ওষুধ, যেমন কনস্টিপেশনের জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধ।

পিওথলির পাথর গলানোর ঔষধ

পিও থলির পাথর ওষুধের মাধ্যমে গলানো সম্ভব কিন্তু এতে করে শরীরের সমস্যা বেশি দেখা দেবে। পিত্তথলির পাথর গলানো স্থানে আস্তে আস্তে জ্বালাপোড়া শুরু করবে। সে সময়ে ক্যান্সারে পরিণত হবে। পিত্তথলির গলানো অংশ ভিতরে গেলে সমস্যার পরিমাণ জটিল আকার ধারণ করবে। ওষুধের আশায় বসে না থেকে অপারেশন করাই উত্তম কাজ। পিওথলির পাথর গলানোর জন্য অনেক ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। তবে, কোন ওষুধ আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে তা নির্ভর করবে আপনার পিওথলির পাথরের ধরন এবং আকার, এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর। পিওথলির পাথর গলানোর জন্য বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো  ক্যালসিট্রিয়েন  ঔষধটি শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পেজেটস ডিজিজ থেরাপি  পিওথলির পাথর গলতে সাহায্য করে।ক্যালসিওরিন , পিওথলির পাথর অপসারণের অস্ত্রোপচার  মাধ্যমে পাথর অপসারণ করা যেতে পারে।

  •  অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা পিত্তথলির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • সম্পূর্ণ শস্য, ফল, এবং শাকসবজির একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা। এই খাবারগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এবং কোমল পানীয় এড়ানো: অতিরিক্ত চর্বি এবং কোলেস্টেরল পিত্তথলির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • পর্যাপ্ত তরল পান করা: পর্যাপ্ত তরল পান করলে পিত্তথলি থেকে পাথর বেরিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

পিত্তথলির পাথর অপারেশন খরচ

মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ধারণা রয়েছে পিত্তথলি অপারেশনের মানে খুব কঠিন অবস্থা খারাপ। অত্যাধুনিক উন্নত মেশিনে হাতের স্পর্শ ছাড়াই কম্পিউটার মাধ্যমে অপারেশন করা হয়। এতে করে শরীরের কোন অংশে সেলাই দিতে হয় না। অভিজ্ঞ স্পেশালিস্ট সার্জারি ডাক্তারের দাঁড়ায় চিকিৎসার সমস্ত কাজ করবেন। ঢাকার মধ্যে ভালো ক্লিনিক থেকে ২৫০০০ টাকার মধ্যে পিত্তথলির অপারেশন করা হয় এছাড়াও সরকারি অথবা বাংলাদেশের যেকোনো প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে অপারেশন করতে পারে। ঢাকায় অস্ত্র পাচারের জন্য উত্তম হবে।

বাংলাদেশে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ হাসপাতাল, সার্জন, রোগীর অবস্থা এবং অপারেশনের ধরন অনুসারে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটমি নামক একটি অপারেশনের মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর অপসারণ করা হয়। এই অপারেশনের মাধ্যমে ছোট ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে গলব্লাডার অপসারণ করা হয়। এই অপারেশনের খরচ সাধারণত ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে হয়। যদি পিত্তথলির পাথর খুব বড় হয় বা গলব্লাডারে সংক্রমণ হয় তবে ওপেন কোলেসিস্টেকটমি নামক একটি অপারেশনের মাধ্যমে গলব্লাডার অপসারণ করা হয়। এই অপারেশনের মাধ্যমে একটি বড় ছিদ্রের মাধ্যমে গলব্লাডার অপসারণ করা হয়। এই অপারেশনের খরচ সাধারণত ৫০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকার মধ্যে হয়।
  • হাসপাতাল: সরকারি হাসপাতালে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় কম হয়।
  • সার্জন: অভিজ্ঞ সার্জনের মাধ্যমে অপারেশন করালে খরচ বেশি হয়।
  • রোগীর অবস্থা: রোগীর অবস্থা যদি জটিল হয় তবে অপারেশনের খরচ বেশি হয়।
  • অপারেশনের ধরন: ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটমির খরচ ওপেন কোলেসিস্টেকটমির তুলনায় কম হয়।

পিত্তথলি পাথর দূর করার উপায়

প্রাকৃতিক নির্যাসের উপাদানে দিয়ে পাথর দূর করার উপায় আছে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকার ফলে খুব সহজে পেটের মধ্যে পাথরটি জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ সরাতে সাহায্য করবে। নারকেল তেল ৩-৪ ফোঁটা নিয়ে তার সাথে আপেলের রস মিশ্রণ করে রোগীকে দিতে পারেন। নারকেলের তেলের মিশ্রণের মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর গলানো কাজে উপকারে আসবে। পিত্তথলি পাথর হল পিত্তথলিতে গঠিত কঠিন পদার্থ। পিত্তথলি হল একটি ছোট, ডিম্বাকৃতি অঙ্গ যা লিভারের নীচে অবস্থিত। এটি পাচনতন্ত্রে চর্বি হজমে সাহায্য করার জন্য পিত্ত সংরক্ষণ করে। পিত্তথলিতে পাথর গঠিত হতে পারে যখন পিত্তের মধ্যে থাকা খনিজ পদার্থগুলি জমা হয় এবং শক্ত হয়ে যায়। পিত্তথলি পাথর ছোট বা বড় হতে পারে। ছোট পাথরগুলি সাধারণত কোনও লক্ষণ সৃষ্টি করে না এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। বড় পাথরগুলি ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে।

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি পান করা পিত্তথলির পাথরকে দ্রবীভূত করতে এবং মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে 8-10 গ্লাস পানি পান করুন।
  • অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন পান করা এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন পিত্তথলির পাথর গঠনের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। ফাইবার পিত্তথলির পাথর গঠনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, এবং পুরো শস্য।
  • ওজন কমান। অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা পিত্তথলির পাথর গঠনের ঝুঁকি বাড়ায়।

পিত্তথলির পাথর গঠনের ঝুঁকি বাড়ায় :  চর্বিযুক্ত খাবার, রেড মিংস, ডায়েট্রি ফ্যাট, দুগ্ধজাত পণ্য,  অ্যালকোহল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *