২০২৪ সালে টেলিটক নাম্বার দেখার উপায় ও চেক কোড ! বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি সিম অপারেটর টেলিটক। টেলিটক সিম দিয়ে সরকারি সকল চাকুরীর আবেদন করতে পারবেন। একমাত্র টেলিটক সিমটি চাকুরী অবদানের জন্য বরাদ্দ। যেকোনো ধরনের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সকল ধরনের কাজে টেলিটক সিম ব্যবহার হয়। বিদ্যুৎ বিলের টাকা প্রদান করতে অবশ্যই টেলিটক সিম ব্যবহার করতে হয়। ছাত্রদের উপবৃত্তি টাকা উত্তোলন করতে হলে বাধ্যতামূলক টেলিটক সিম থাকতেই হবে। অসংখ্য সুযোগ সুবিধার মধ্যে নিহত রয়েছে টেলিটক সিম অপারেট। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো টেলিটক সিমের মাধ্যমে হয়। অনেক মানুষ ভুলবশত কিভাবে টেলিটকের নাম্বার চেক করে লোড দিতে হয় এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নেই। আজকের এই পোস্ট থেকে অতি সহজে জানতে পারবেন কিভাবে টেলিটক নাম্বার চেক করব ও ডায়াল কোড সম্পর্কে।
টেলিটক সিম সংক্রান্ত আরো মূল্যবান তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। কেননা আমরা আজকে জানিয়ে দেবো টেলিটক নাম্বার কিভাবে চেক করবেন সকল পদ্ধতি। এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আপনার মেধাতে যখন থাকবে তখন খুব সহজেই নাম্বারটি চেক করতে পারবেন।
টেলিটক নাম্বার দেখার উপায়
গ্রামের অশিক্ষিত মানুষ নিজস্ব নাম্বারটি মনে রাখতে পারে না। এমত অবস্থায় ফ্লেক্সিলোড দোকানে গিয়ে নিজের নাম্বারটুকু বলতে পারেনা। যার ফলস্বরূপ হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে রিচার্জ করতে অক্ষম হয়। মোবাইল ফোনে যদি টাকা না থাকে কোনভাবে ই যোগাযোগ সম্ভব নয়। একমাত্র রিচার্জের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন সহজতর হয়। নিজের নাম্বারটি জানার জন্য ছোট্ট একটি ডায়াল কোড মনে রাখতে হবে। এই কোডটি মোবাইল অফারের ডায়াল প্যাডে ডায়াল করলে তাৎক্ষণিকভাবে স্ক্রিনে আপনার টেলিটক নাম্বারটি ভেসে উঠবে। চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে এই নাম্বারে রিচার্জ করে সফল হবেন।
বাংলাদেশের একমাত্র মালিকাধীন টেলিটক সিম অপারেটর। সরকারের সকল ধরনের কাজের জন্য টেলিটক সিম তৈরি হয়েছে। সরকারি কাজ ছাড়াও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন অফিসে টেলিটক সিমের ব্যবহার দেখা যায়। ঢাকা সহ বাইরে অনেক বিভাগ ও জেলা শহরে টেলিটক সিমের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়। গ্রামে কিংবা শহরে টেলিটক সিমে ছাত্র-ছাত্রীর জন্য টাকা আদান প্রদানের সহজ মাধ্যম হয়। টেলিটক সিমের কোড শুরুর দিকে শূন্য ০১৫ শুরু হয়। দুই ধরনের সেবা প্রধান করে থাকে টেলিটক সিম অপারেটর কোম্পানি। একটি হলো প্রিপেইড সিম যা বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত। আরে কি হলো পোস্টপেইড সিম। যে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। টেলিটক সিম নাম্বার ১১ সংখ্যার ডিজিট থাকবে।
টেলিটক নাম্বার চেক করার উপায়
সাধারণত তিনটি উপায় টেলিফোন নাম্বার দেখা যাবে। নিজস্ব মোবাইলে ডায়াল কোড এর মাধ্যমে। এসএমএস পাঠানো সহজ মাধ্যমে ও কাস্টমার প্রতিনিধি সাথে কথা বলে টেলিটকের নিজের নাম্বারটি খুব সহজে দেখা যায়। তৃতীয় পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারলে অবশ্যই নিজের টেলিফোন নাম্বারটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে জানতে পারবেন। তারপর বিভ্রান্ত ছাড়াই নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজগুলো করতে পারবেন। টেলিটক সিম দেখার অত্যন্ত সহজ ও অল্প সময় ব্যয় জনপ্রিয় মাধ্যম ডায়াল কোড ব্যবহার করা। আপনার নিজস্ব মোবাইল থেকে টেলিটক সিমটি ব্যবহার করে থাকলে মোবাইলের ডায়াল প্যাডে গিয়ে লিখুন *৫৫১# । নেটওয়ার্ক কানেকশন ভালো থাকলে তাৎক্ষণিক সময় মোবাইলে ডিসপ্লেতে রানিং টেলিফোন নাম্বারটি ভেসে উঠবে। নাম্বারটি সাথে সাথে সেভ করে রাখলে পরবর্তীতে প্রয়োজনে লাগবে। এভাবেই ডায়াল কোডের মাধ্যমে খুব সহজে টেলিটক নাম্বার দেখে নিবেন।
এসএমএসের মাধ্যমে বিভিন্ন একটি পন্থা অবলম্বন করে টেলিটক নাম্বার দেখে নিতে পারেন। এই পদ্ধতি সফল করতে মোবাইল অপশনের মেসেজ ইনবক্সে গিয়ে টাইপ করুন P এবং পাঠিয়ে দিন ১৫৪ নাম্বারে। অবশ্য লক্ষ্য করবেন মেসেজটি সফল হয়েছে কিনা। যদি সফল না হয় বারবার চেষ্টা করতে হবে। সফল হওয়ার পর কিছুক্ষণ সময় ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ফিরতি এসএমএস হিসেবে একটি নাম্বার দেখা যাবে এটি হলো আপনার কাঙ্খিত টেলিটক নাম্বারটি। এভাবেই খুব সহজেই বাংলাদেশের সকল টেলিটক সিম নাম্বার চেক করার মাধ্যম। এসএমএসের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বারটি নিতে ব্যর্থ হলে উপরে দেওয়া অন্যান্য পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করবেন, তাহলে অবশ্যই জীবনে একটি সমাধান পাবেন।
কাস্টমার প্রতিনিধির সাথে কথা বলে টেলিটক নাম্বার চেক করার পদ্ধতি
সিম অপারেটর কোম্পানির অন্যতম সেবার জনপ্রিয় মাধ্যম কাস্টমার কেয়ার কল নাম্বার। কাস্টমার কেয়ারে যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য দিনরাত 24 ঘন্টা যেকোনো সময় কল করতে পারেন। কাস্টমার প্রতিনিধি গ্রাহকদের সেবায় সবসময় নিয়োজিত থাকে এবং অত্যন্ত সহজ ও নমনীয় ব্যবহার করে গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকে। গ্রাহকদের সেবা দেওয়ায় তাদের ধর্ম ও লক্ষ্য। টেলিটক ব্যবহারকারী নিজের নাম্বারটি জানতে হলে অবশ্যই কাস্টমার কেয়ারে কথা বলে জানতে পারে। টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে কথা বলার জন্য সম্পূর্ণ টোল ফ্রি করা রয়েছে। কাস্টমার কেয়ার সাথে কথা বলতে মোবাইল অপশনে গিয়ে ডায়াল করুন ওয়ান টু ওয়ান এবং সাথে সাথে calling এর চাপ দিয়ে অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণ পর পর কল রিসিভ হলে যে সকল বাটনগুলো চাপতে বলবে ঠান্ডা মাথায় শুনে ওই সকল বাটনগুলো চাপতে থাকুন। লক্ষ্য করে দেখবেন একজন প্রতিনিধি সমস্যা সমাধান করার জন্য কলটি রিসিভ করবে। কাস্টমার প্রতিনিধিকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে পারলে ইনস্ট্যান্ট একটি এসএমএস এর মাধ্যমে টেলিফোন নাম্বারটি প্রদান করবে। এভাবেই টাকা ব্যয় না করে কাস্টমার কেয়ারে কল করে টেলিফোন নাম্বারটি খুব সহজে জানা যায়।
অ্যাপসের মাধ্যমে টেলিটক নাম্বার দেখার নিয়ম
তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি সাধনের ফলে এখন মানুষ সবকিছুই স্মার্টলি ব্যবহার করতে চায়। দেশের উন্নতি আমল পরিবর্তন হয়েছে বলে এখন খুব সহজেই অ্যাপসের মাধ্যমে টেলিফোন নাম্বারটি জানতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি টেলিটক অ্যাপস নামিয়ে নিন। অ্যাপসটি নামার আমার আগে অবশ্যই মনে রাখবেন ইন্টারনেট কানেকশন সংযোগ দেওয়া আছে কিনা। ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া কখনোই গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করা সম্ভব নয়। ইন্টারনেট যুক্ত করে একটি সফলভাবে ডাউনলোড করতে পারলে দ্বিতীয় স্টেপে ইন্সটল বাটনে সাফ করে সাথে সাথে ইন্সটল করে নেন। টেলিটক অ্যাপসটি ইন্সটল করার পর ওপেন বাটনে ক্লিক করে অ্যাপসটি চালু করতে হবে। কিছুক্ষণ পর ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন নাম্বার অ্যাপসের মাধ্যমে জানতে চাইবে। একটু সময় নিয়ে ধৈর্য ধরুন দেখবেন টেলিটক নাম্বারে একটি ৬ ডিজিটের ভেরিফিকেশন কোড এসেছে। সেই কোডটি অ্যাপসের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করলে সাথে সাথেই টেলিটক অ্যাপসের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করা যাবে। যেই তথ্যটি জানার জন্য অ্যাপসটি ইন্সটল করা সেটি জানার জন্য অ্যাপসের ডান পাশে কোনায় টেলিফোন নাম্বারটি দেখতে পারবেন। এটি আপনার নিজস্ব টেলিটক নাম্বার। এছাড়াও টেলিটক অ্যাপ দিয়ে মিনিট প্যাকেট অফার, ইন্টারনেট অফার ও রিচার্জ অফার সংক্রান্ত তথ্যগুলো দেওয়া আছে।